ঢাকা,সোমবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৪

কক্সবাজার জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের আদেশ মানছেন না পেকুয়া ইউএনও অফিসের কর্মচারী মিজান!

মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন, পেকুয়া ::

মো: মিজানুর রহমান। পেকুয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার কার্যালয়ে অফিস সহায়ক পদে দীর্ঘ এক যুগেরও বেশি সময় ধরে কর্মরত রয়েছে। একই কর্মস্থলে এক যুগেরও বেশি চাট্টিখানি কথা নয়! অথচ মন্ত্রী পরিষদ বিভাগের প্রজ্ঞাপন মতে সরকারী কর্মকর্তা-কর্মচারীদের একই কর্মস্থলে তিন বছর হলে বদলী করার সুস্পষ্ট নির্দেশনা রয়েছে। কিন্তু ব্যতিক্রম পেকুয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার কার্যালয়ে কর্মরত মহা ক্ষমতাধর অফিস সহায়ক মিজানুর রহমান। দীর্ঘ এক যুগেরও বেশি সময় ধরে পেকুয়ায় কর্মরত থাকার সুযোগে নানা অনিয়ম ও ঘুষ বানিজ্যের সাথে জড়িয়ে পড়েছেন। তার বিরুদ্ধে অভিযোগের অন্ত: নাই। পেকুয়া ইউএনও অফিসে সেবা নিতে আসা সাধারন লোকজনকে জিম্মি করে নানান উপায়ে ইউএনও নাম ভাঙ্গিয়ে উৎকোচ আদায় করেন।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, এসব অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে পেকুয়া ইউএনও অফিসের অফিস সহায়ক মিজানুর রহমান ২০১৮ সালের ২ অক্টোবর কক্সবাজার জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক এস এম সরওয়ার কামাল (পর্যটন ও প্রটোকল) স্বাক্ষরিত জনস্বার্থে জারীকৃত এক সরকারী আদেশের মাধ্যমে অফিস সহায়ক মিজানুর রহমানকে জেলার নেজারত শাখায় বদলীর অফিস আদেশ জারী করেন। অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক ০৩/১০/২০১৮ইংরেজী তারিখ বদলীকৃত কর্মস্থলে যোগদান করার জন্য অফিস সহায়ক মিজানুর রহমানকে আবশ্যিকভাবে নির্দেশ দিলেও অফিস সহায়ক মিজান সেই নির্দেশ গত সাত মাসেও মানেননি!

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, অফিস সহায়ক মিজান গত সাত মাস অতিবাহিত হলেও নতুন কর্মস্থলে যোগদান না করে পেকুয়া ইউএনও অফিসে বহাল তবিয়তে রয়েছে। বদলী ঠেকিয়ে পেকুয়ায় কর্মরত থাকার জন্য বেশ জোরেসোরে চেষ্টা তদবীর চালাচ্ছে বলে খবর পাওয়া গেছে।

বদলীর পরেও পুরাতন কর্মস্থলে বহাল থাকার বিষয়ে মিজানুর রহমানের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি এ বিষয়ে কিছুই বলতে রাজি হননি।

কক্সবাজার জেলা প্রশাসক কামাল হোসেনকে এ ব্যাপারে এ দৃষ্টি আকর্ষন করা হলে তিনি বিষয়টি খোঁজ খবর নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিবেন বলে এ প্রতিবেদককে জানিয়েছেন।

পাঠকের মতামত: